কমছে ডিম ও আলুর দাম
ভারত থেকে আমদানির কারণে ডিমের বাজার কমেছে। গত এক সপ্তাহে ডিমের দাম পাইকারিতে প্রতি পিস ২ টাকা ও খুচরায় ১ টাকা কমেছে। অন্যদিকে আমদানির কারণে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে আলুর দাম কমেছে। বর্তমানে পাইকারি ভারতীয় আলু প্রতি কেজি ৩২ টাকা এবং দেশি আলু ৩৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েকদিনে পাইকারি ও খুচরা উভয় পর্যায়ে আলুর দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে।
এদিকে সোমবার পাহাড়তলী ডিমের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা ৭০ পয়সায়। এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল প্রায় ১২ টাকা। পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে আমদানি করা ডিম আসতে শুরু করেছে। এ ছাড়া বাজারে নতুন শীতের সবজি আসায় ডিমের ওপর চাপ কমেছে। ফলে যে পরিমাণ ডিম উৎপাদিত হয় সে পরিমাণ ডিম বিক্রি হয় না। ফলে দাম কমছে। অন্যদিকে পাইকারি দাম কমলেও খুচরা বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি ডজন ১৪৫ টাকায়। গত দুই দিনে প্রতি ডজনের দাম কমেছে মাত্র ১০ টাকা।
চট্টগ্রাম ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল শুক্কুর বলেন, হঠাৎ করে ডিমের চাহিদা কমে গেছে। ডিম বেশিদিন সংরক্ষণে রাখা যায় না। এখন উৎপাদনের পরিমাণের তুলনায় চাহিদা নেই। তাই দাম নেতিবাচক দিকে রয়েছে। গত সপ্তাহে আমরা প্রতিটি ডিম প্রায় ১২ টাকায় পাইকারি বিক্রি করেছি। এখন তা ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
অন্যদিকে আলুর বাজার প্রসঙ্গে চাক্তাই আড়তদার ও ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানির কারণে আলুর পাইকারি দাম কমেছে। প্রতি কেজি আলুর পাইকারি দাম নেমে এসেছে ১৫ টাকায়। ক্যাব, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসেন বলেন, বাজারে প্রতিটি পণ্য নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে খেলছেন। এর সর্বশেষ সংযোজন ডিম এবং আলু। ব্যবসায়ীরা ডিম ও আলুর এমন সংকট তৈরি করে যে শেষ পর্যন্ত সরকার আমদানির অনুমতি দিতে হয়েছে। ব্যবসায়ীদের ক্রয়-বিক্রয় রসিদ দেখে নিয়মিত বাজার মনিটর করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।