বিএনপিপন্থী ৭ আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার শুনানি ১৫ নভেম্বর
বিএনপিপন্থী সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি স্থগিত করেছে আদালত। আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যূথী।
১৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় আপিল বিভাগের একজন বিচারক বিচারপতিদের ‘শপথপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ’ বলে উল্লেখ করেন। একই অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের আরেক বিচারপতি জাতীয় সংসদে বিদেশিদের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করেন। নির্বাচন এরপর থেকে এই দুই বিচারপতির পদত্যাগের দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম গত ২৭ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে আপিল বিভাগের দুই বিচারপতিকে অপসারণের অনুরোধ করা হয় প্রধান বিচারপতিকে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব কায়সার কামাল বলেন, যেহেতু আপিল বিভাগের দুই বিচারক তাদের শপথ ভঙ্গ করে বিচার পরিচালনার আইনগত ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই আমি তাদের কাছে অনুরোধ করছি। তাদের বিচারিক কাজে বাধা দিতে মাননীয় প্রধান বিচারপতি।
এরপর গত ২৮ আগস্ট আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. নাজমুল হুদা। পরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।
ওই দিন আদালত আবেদনের শুনানির জন্য ১৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। আবেদনটি শুনানির জন্য এলে প্রধান বিচারপতি বলেন, আগে আবেদনটি চারজন (চার বিচারপতি) শুনানি করতেন। আজ কেউ নেই। প্রথমে আমাদের চারজনকে একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে নোটিশ জারি করা হবে কি না। আর ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মিছিল, মিটিং, সমাবেশের বিষয়ে বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও বিচারপতি এ এফ এম আবদুর রহমানের নির্দেশ কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছি, আশা করি আদালতের মর্যাদার কথা মাথায় রেখে সকল পক্ষ আদেশ পালন করবেন।
যাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে তারা হলেন- বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কায়সার কামাল, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল জামিল মুহাম্মদ আলী ওরফে এজে মোহাম্মদ আলী, আইনজীবী ফাহিমা নাসরিন, আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক রুহুল হোসেন। কুদ্দুস কাজল, মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও গাজী কামরুল ইসলাম সজল।