ভারত ও চীনের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক জানতে চেয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল
ঢাকা সফররত মার্কিন প্রতিনিধি দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারত-চীন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেছে। শুক্রবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান তারা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ভারত-চীন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য ধানমন্ডি কার্যালয়ে যান।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন ইউএস ইনস্টিটিউট ফর পিস (ইউএসআইপি) প্রতিনিধি জেফরি ম্যাকডোনাল্ড, ড্যান মার্কি এবং ইশা গুপ্তা। তারা আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইনাম আহমেদ চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ প্রমুখ।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বেরিয়ে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ।
শাম্মী আহমেদ বলেন, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ভারত ও চীনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান। আমরা যেমন বলেছি, চীন একটি শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। তাদের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী বড় দেশ।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তারা আমাদের সাহায্য করেছিল। অনেক বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
শাম্মী আহমেদ আরও বলেন, তারা ভারতে হিন্দুত্বের উত্থান, অরুণাচলের ভারত-চীন সীমান্ত নিয়ে সংঘাত নিয়ে আমাদের অবস্থান জানতে চায়। আমরা পরিষ্কার বলেছি, এগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এসব বিষয়ে সে দেশের জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।
এ বিষয়ে আমাদের নীতি হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত পররাষ্ট্রনীতি- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রতিনিধিদল নির্বাচন-পূর্ব পর্যবেক্ষণ দল নয়। ফলে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে কাজ করে। আমাদের সাথে আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল আমাদের চিন্তাভাবনা বোঝা। অনেক একাডেমিক আলোচনা হয়েছে।