বাংলাদেশের ইংল্যান্ড অভিযান আজ
গত কয়েকদিনের আলোচনা এমন যে, ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচপিসিএ) স্টেডিয়ামে আজকের বাংলাদেশের ম্যাচের মতো দুঃসাহসিক কাজ শুরু করছে ইংল্যান্ড। যেখানে রোমাঞ্চের সাথে রয়েছে ভয় ও বিপদ। ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলারের সংবাদ সম্মেলনে ৫০ শতাংশেরও বেশি ব্রিটিশ সাংবাদিকের প্রশ্ন ছিল একটি বিষয় নিয়ে। তবে ইংলিশ শিবিরের গতকালের অনুশীলনের দিকে তাকালে সাংবাদিকদের দোষারোপ করার কিছু নেই।
বিশেষ করে কিছুক্ষণ তাদের ফাস্ট বোলারদের কেউই বোলিং করছিল না। কিন্তু মাঠের সেন্টার উইকেটে পুরো রানআপে দৌড়ে বোলিং ক্রিজে চলে যাচ্ছিল তারা। যেহেতু আলোচনাটি ছিল, তাই এটিকে অন্য ধরনের প্রস্তুতির অংশ বলে পরোক্ষভাবে ধরে নেওয়া হয়েছিল। এইচপিসিএ-র আউটফিল্ড ইংলিশম্যানদের মধ্যে এমন আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে যে পেসাররা বোলিং করার আগে ইনজুরি ঝুঁকি মূল্যায়ন অনুশীলন করছে।
তবে মহড়ায় কেউ আহত হয়নি। তবে বাটলারের মতে, নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে মৌসুম শুরু করা ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ভয় শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। নইলে সংবাদ সম্মেলনে কেন বলেন, ‘হ্যাঁ, আউটফিল্ড নিয়ে শঙ্কা আছে। কিছুটা বুঝে ফিল্ডিং করতে হবে।
কিন্তু বাংলাদেশের সে সমস্যা নেই। ধর্মশালায় তারা ইতিমধ্যে একটি ম্যাচ খেলেছে। খেলার সময় হলেই আউটফিল্ড নিয়ে অভিযোগ করে সময় নষ্ট করার কোনো কারণ দেখেন না স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ।
বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ফিল্ডিংয়ের সময় সতর্কতা নেওয়ার বিষয়ে কাউকে বলা হয়নি, ‘আমরা কোনো নিষেধাজ্ঞা দেইনি। কারণ এরকম কিছু বললে ছেলেরা তাদের ১০০% দেবে না। আফগানিস্তানকে হারিয়ে মৌসুম শুরু করা বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টকে ইংল্যান্ড ম্যাচের যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে। এই ম্যাচে প্রথম একাই উইকেট দেখতে মাঠে নামেন চন্দিকা হাতুরাসিংহে। একটু পরেই টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন ফিরে এলেন শ্রীরামকে নিয়ে। এটা সেখানে শেষ হয় না। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বারবার উইকেটের সামনে যেতে দেখা গেছে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচকে।
শেষ পর্যন্ত উইকেট যাই হোক না কেন, দুই দলই থাকবে জয়ের সন্ধানে। তবে গত কয়েকদিনের আলোচনার ওপর ভিত্তি করে বাটলার বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মঙ্গল কামনা করেছেন, ‘আশা করি, দুই দলের কেউই দুর্ভাগ্যজনক ইনজুরিতে ভুগবেন না।