বিশ্ববাজারে চাল, গম ও ভোজ্যতেলের দাম কমেছে
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল ছিল। এ সময়ে ভোজ্যতেল, দুগ্ধজাত পণ্য ও মাংসের দাম কমলেও বেড়েছে চিনি ও ভুট্টার দাম। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) গত শুক্রবার মাসিক খাদ্যপণ্য সূচক প্রকাশ করেছে। দেখা যায়, গত সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম আগের মাসের তুলনায় বাড়েনি।
যাইহোক, সূচকটি এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় শতাংশ কম এবং ২০২২ সালের মার্চের সর্বোচ্চ থেকে ২৪.০ শতাংশ কম।
এফএওর তথ্যমতে, গত মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টার দাম বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর্জেন্টিনার উৎপাদন কমলেও বিশ্ববাজারে আমদানি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। তবে এর বিপরীতে বিশ্ববাজারে কমেছে গম ও চালের দাম।
গত সেপ্টেম্বরে গমের দাম ১.৬ শতাংশ এবং চালের দাম ০.৫ শতাংশ কমেছে। রাশিয়ায় উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত সরবরাহের কারণে গমের দাম কম ছিল। একইভাবে চালের আমদানি চাহিদাও কম ছিল।
গত মাসে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে ৩.৯ শতাংশ।
পাম অয়েল, সয়াবিন, সূর্যমুখী ও রেপসিডসহ প্রায় সব ধরনের ভোজ্য তেলের দাম মৌসুমি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ভালো রপ্তানি সরবরাহের কারণে নিম্নমুখী প্রবণতা রয়েছে।
অন্যদিকে, গত মাসে চিনির দাম ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে, যা নভেম্বর ২০১০ থেকে সর্বোচ্চ। এল নিনোর কারণে থাইল্যান্ড ও ভারতে আখের উৎপাদন কমে গেছে। তবে ব্রাজিলের অনুকূল আবহাওয়ায় উৎপাদনের উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে আগামী মৌসুমে সরবরাহ কড়া হওয়ার আশঙ্কায় চিনির বাজার বেড়েছে।
দুগ্ধজাত পণ্যের দাম গত মাসে ২.৩ শতাংশ কমেছে, যেখানে মাংসের দাম কমেছে ১.০ শতাংশ।