জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে ৬৪টি জেলায় বৃক্ষরোপণ
বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব তুলে ধরতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব থেকে বাঁচাতে দেশের ৬৪টি জেলায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সম্পন্ন করেছে দুটি সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। মঙ্গলবার বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির সমাজসেবা ক্লাব বিইউএফটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব ও যুব দাতব্য সংস্থা যৌথভাবে জেলায় জেলায় এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এ বছর বিভিন্ন সময়ে ৬৩টি জেলায় বৃক্ষরোপণের পর ৬৪তম জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় অবস্থিত ‘বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি’ ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস এলাকায় ১০০টি গাছ রোপণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।
বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. প্রকৌশলী আইয়ুব নবী খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বুশরা আফরিন বলেন, ‘বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। গাছ আমাদের পৃথিবীর ফুসফুস। আমাদের বায়ু বিশুদ্ধকরণ, অক্সিজেন সরবরাহ এবং একটি সুষম ভারসাম্যপূর্ণ বাস্তুতন্ত্র তৈরিতে গাছের অবদানকে একেবারেই উপেক্ষা করা যায় না।
তারা আমাদের পরিবেশের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিধ্বংসী প্রভাব থেকে আমাদের রক্ষা করে।’
“বৈশ্বিক উষ্ণায়নের পরিণতি সুদূরপ্রসারী, যা কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং অগণিত প্রজাতির বেঁচে থাকা পর্যন্ত সবকিছুকে প্রভাবিত করছে,” তিনি যোগ করেছেন। এটি এমন একটি চ্যালেঞ্জ যা কোন সীমানা জানে না এবং এর মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা প্রয়োজন। আমাদের সকলের এই প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করা উচিত।
বিইউএফটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব এবং ইয়ুথ চ্যারিটি অর্গানাইজেশন দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের ৫টি মৌলিক অধিকার নিয়ে কাজ করে আসছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন সময়ে খাদ্য বিতরণ, শীতবস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ বা বন্যার সময় বন্যা দুর্গতদের জন্য কিছু করার চেষ্টা করা হয়। টানা ২ বছর ধরে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় বৃক্ষরোপণ অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে এবং উভয় ক্লাবই জানিয়েছে যে তারা আগামী বছরগুলিতে উপজেলা ভিত্তিতে বৃক্ষ রোপণ করতে চায়।