আগামীকাল থেকে বৃষ্টি বাড়তে পারে

0

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ও মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে রবিবার দক্ষিণাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানেও কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী দুই দিন (সোম ও মঙ্গলবার) বৃষ্টিপাত ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে, যা আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে বাগেরহাটের শরণখোলা ও সুন্দরবনের ওপর দিয়ে দমকা হাওয়া ও দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।

স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন ফুট বেশি পানি বেড়ে যাওয়ায় সুন্দরবন ও উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উত্তাল সমুদ্রের কারণে ইলিশ আহরণ বন্ধ রয়েছে।

গত শুক্রবার উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি স্বতন্ত্র নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের কারণে দমকা হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে চলাচলকারী সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মোঃ ওমর ফারুক গতকাল বলেন, ‘নিম্নচাপটি আগামীকাল (আজ) পশ্চিমবঙ্গের দিকে অগ্রসর হয়ে স্থলভাগে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। সোমবার ও মঙ্গলবার বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে। বুধবার থেকে তা বাড়তে পারে। সব মিলিয়ে মৌসুমী ও নিম্নচাপের বৃষ্টি আরও এক সপ্তাহ স্থায়ী হতে পারে।

‘গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৪৪টি স্টেশনের মধ্যে ৩৯টিতে বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে রংপুরের রাজারহাটে, ৪৭ মিলিমিটার। ঢাকায় তিন মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, গাইবান্ধা জেলার করতোয়া নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। গতকাল বিকাল ৩টায় গাইবান্ধার চক রহিমপুর স্টেশনে করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শরণখোলার ৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে

গতকাল বলেশ্বর নদী ও ভোলা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে শরণখোলা উপজেলার দক্ষিণখালী ইউনিয়নের সোনাতলা, বাগী, খুড়িয়াখালী গ্রাম ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর গ্রামে বাঁধের বাইরে বসবাসকারী সহস্রাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা, আলোরকোল, কটকা, কচিখালী ও চরখালী এলাকার বনাঞ্চলের ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি দুই থেকে দুই ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলাপল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মুঠোফোনে বলেন, বঙ্গোপসাগরের বড় বড় ঢেউ দুবলার চর ও আলোরকোলে আছড়ে পড়ছে। বনাঞ্চল স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিন ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সব বনরক্ষীরা সাইক্লোন শেল্টারে অবস্থান করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *