মুক্তিযুদ্ধের গল্প কেউ যেন বিকৃত করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের গল্প যাতে কেউ বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাহিত্যিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে উজ্জীবিত রেখেছেন। আমরা রাজনীতিবিদরা রাজনীতির মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ১৯৭৩-২০২৩ এ রেট্রোস্পেক্টিভ’ শীর্ষক নির্বাচিত চিত্রকর্মের বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাথাকে বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ নিয়েছি, আজ সেই চেতনা আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে আমাদের তরুণ সমাজে, এটাই সবচেয়ে বড় অর্জন।
তিনি বলেন, শিল্পীর আঁকা ছবি হৃদয় দিয়ে বোঝা যায়, সঙ্গে সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা যায়; একটা চেতনা জাগ্রত হয়। আর মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সেই চেতনায় বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠবে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে দেশ গড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রকৃতি, আমাদের দেশের নানা চিত্র চিত্রকরদের আঁচড় থেকে উঠে আসে। আমাদের ইতিহাস যেমন উন্মোচিত হয়, তেমনি দরিদ্র মানুষের দৃশ্যও দেখা যায়। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর আমি আন্তর্জাতিক চিত্রশিল্পীদের সম্মেলন করি।
সেখানে কয়েকটি শিল্পকর্ম আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। আমি নিজে একটা কিনি। তার সাথে কিছু উপহারও পেয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা কমিশনে, যেখানে বসে আমরা উন্নয়নের পরিকল্পনা করি, সেই ছবিটা রেখেছি। গণভবনে আরও একজন আছে।
শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, শাহাবুদ্দিন আমার ছোট ভাইয়ের মতো। তিনি প্যারিসে থাকেন কিন্তু হৃদয় বাংলাদেশে। আমি মনে করি তিনি সেরাদের একজন। কারণ তিনি মনে মনে ধারণ করেছেন যে তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তিনি এখনও মুক্তিযোদ্ধা। তার শিল্পকর্ম সেই চিন্তার উপর ভিত্তি করে। এটাই আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা। শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ তার বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন।