মরক্কো ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২,৮০০ ছাড়িয়েছে
এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পে আঘাত হেনেছে মরক্কো। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৮০০-এরও বেশি। কিছু এলাকার গ্রামবাসী ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বাইরে ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে। স্পেন, ব্রিটেন ও কাতার থেকে উদ্ধারকারী দল মরক্কো পৌঁছেছে।
মরক্কোসহ দেশগুলো উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়। শুক্রবার রাতে আটলাস পর্বতমালায় আঘাত হানা ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
৫৯ বছর বয়সী মোহাম্মদ এলহাসান জানান, ভূমিকম্পের সময় তিনি তার পরিবারের সাথে ডিনার করছিলেন। তখন ভয়ে বেরিয়ে আসে তার ৩১ বছরের ছেলে।
তখনই প্রতিবেশীর ছাদ ভেঙে পড়ে এবং তিনি ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েন। এলহাসান আরও বলেন, তিনি সাহায্যের জন্য চিৎকার করছেন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। ছেলেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
এলহাসান এবং তার স্ত্রী ও মেয়ে তাদের বাড়ির ভিতরে থাকায় বেঁচে যান। ইলহাসান বলেন, “ছেলেটি যদি ঘরের ভেতরে থাকত, তাহলে সে বেঁচে যেত।”
অন্যান্য গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তারা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ থেকে লোকজনকে বের করে আনেন। তিক্ষেত গ্রামে মাত্র কয়েকটি ভবন দাঁড়িয়ে আছে। ৬৬ বছর বয়সী মোহাম্মদ ওচেন বলেন, ‘আমরা উদ্ধার কাজে ব্যস্ত ছিলাম।
আমাদের কোনো যন্ত্রপাতি ছিল না। আমরা আমাদের হাত ব্যবহার করেছি।’
একটি স্প্যানিশ উদ্ধারকারী অ্যান্তোনিও নোগালেস বলেছেন, “ধ্বংসের মাত্রা… ভয়ঙ্কর।” নোগালেস বলেন তিনি যা দেখছেন তা বর্ণনা করার জন্য তিনি সঠিক শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। একটা ঘরও সোজা ছিল না।
কুকুরের সাহায্যে তল্লাশি চলছে। কেউ বেঁচে থাকলে এটাই প্রত্যাশা।
গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মধ্য মরক্কোতে ৬.৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে।