বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে, দামও কমেছে

0

বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দামও কিছুটা কমেছে। মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে সেপ্টেম্বর জুড়ে জেলেরা জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরবে। সোমবার চাঁদপুর বারস্টেশন পাইকারি বাজারে গত সপ্তাহের তুলনায় আকার ভেদে প্রতি মণ ইলিশের দাম ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা কমেছে।

Description of image

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরেও একই অবস্থা। রাজধানী ঢাকার কারওয়ান বাজারে আকারভেদে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। তবে কিছু বাজারে দাম এখনও চড়া।

চাঁদপুরের ইলিশ ব্যবসায়ী হাজী সুমন খান জানান, সোমবার দক্ষিণ সাগর ও উপকূল থেকে ধরা প্রায় দুই হাজার মণ ইলিশ পাইকারি বাজারে সরবরাহ করা হয়েছে।

এসব ইলিশের মধ্যে এক কেজির ওপরে প্রতি মণ ৫৬ হাজার টাকা, এক কেজির নিচে মাঝারি আকারের প্রতি মণ ৩৬ হাজার টাকা এবং ছোট আকারের ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রামের প্রতি মণ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি মণ ইলিশ কমেছে ১৫ হাজার টাকা। এতে তারা খুব একটা সুবিধা পাচ্ছেন না বলেও জানান তিনি।

চাঁদপুর মাছ ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক জানান, কয়েকদিন ধরে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে।

এটি আকারের উপর নির্ভর করে দামও কমিয়েছে। অক্টোবরে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকলে লাভবান হবেন জেলে ও ব্যবসায়ীরা।

মৎস্য বিজ্ঞানী ও ইলিশ গবেষক আশরাফুল আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বছর ইলিশ পাওয়া গেলেও এখন সেপ্টেম্বরে মৌসুম পূর্ণ হয়। চলতি মাসে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে।

কুয়াকাটার কাছে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা বেড়ে যাওয়ায় মাছ ধরা বন্দর আলীপুর ও মহিপুরে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে।

আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তিন দিন ধরে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। আজ (শনিবার) প্রতি মণ এক কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪২ হাজার থেকে ৪৪ হাজার টাকায়।

ভোলায় ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। জেলার বিভিন্ন মাছের ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় ঘাটগুলোতে মাছের সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে। তুলাটুলি মাছ ঘাটের জেলে। মহিউদ্দিন মাঝি জানান, গতকাল রাতে তিনি মেঘনায় মাছ ধরতে গিয়ে দুটি বড় সাইজের ইলিশ ও পাঁচটি জাটকা দেখতে পান। তিনি বড় মাছ দুই হাজার ৫০০ টাকা ও জাটকা ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। খরচ বাদে ২০০০ টাকা লাভ হয়েছে।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুলিয়া বলেন, ভোলা নদী ও সাগরে ইলিশের পরিমাণ বেড়েছে। আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়েছে জেলেদের জালে। আগামী দিনে ইলিশ ধরার পরিমাণ বাড়বে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।