বিমানে ফের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ গ্রাউন্ড সার্ভিস সহকারী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। এ নিয়ে রাজধানীর উত্তরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রের তিন হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে কেন্দ্রের বাইরে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। ওই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এ কেন্দ্রের একাধিক পরীক্ষার্থী। তবে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।
যদিও ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত শুক্রবার রাজধানীর ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘গ্রাউন্ড সার্ভিস অ্যাসিস্ট্যান্ট’ পদে লিখিত পরীক্ষা নেয় বিমান কর্তৃপক্ষ। তবে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা শুরু না হওয়ায় একটি কেন্দ্রের তিন হাজার পরীক্ষার্থী তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রতিবাদে কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভও করেন তারা।
সূত্র জানায়, এবার গ্রাউন্ড সার্ভিস সহকারী পদে একশ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আবেদন ছিল ৩৩ হাজার। গত শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে পরীক্ষার্থীদের জানানো হয় দুপুর ২টার দিকে, বিকাল ৩টায় নয়, পরীক্ষা শুরু হবে বিকাল ৪টা থেকে।
পরীক্ষা এক ঘণ্টা বিলম্বের কারণ হিসেবে বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার দিন সকাল থেকেই প্রশ্নপত্র তৈরির কাজ শুরু হয়। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ ও ফটোকপিসহ পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিলম্ব হয়েছে। এ জন্য পরীক্ষা শুরু হতে এক ঘণ্টা দেরি করা হয়েছে।
বিমানের এক কর্মকর্তা জানান, পরীক্ষা শুরুতে দেরি হওয়ার তথ্য আগে থেকেই ১০টি কেন্দ্রে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি মন্ত্রণালয় ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরও জানানো হয়েছে।
এই ৯টি কেন্দ্রের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেন। কিন্তু উত্তরা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে ৩ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ায় কেন্দ্রের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করে।
সেদিনের ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। দুই সদস্য হলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গ্রাহক সেবা বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মতিউল ইসলাম চৌধুরী ও মহাব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মেজর মাহমুদুল হাসান। কমিটিকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিমানে নিয়োগ পরীক্ষায় নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে গত বছরের ২১ অক্টোবর ১০টি পদের সর্বশেষ লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিমানের ১০ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।