কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ডিমের দাম বাড়ানো হচ্ছে
দাম বাড়ায় ডিম ব্যবসায়ীদের সমালোচনা করেছেন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) নেতারা। ‘প্রশাসনের অভিযানে হয়রানি করা হচ্ছে’- চট্টগ্রামের ডিম ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ মিথ্যা। কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেট ডিমের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলছে।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সিএবি নেতারা। প্রতিষ্ঠানটি ক্রেতাদের উদ্দেশে বলছে, ‘মূল্য তালিকা ও যথাযথ রসিদ নিয়ে ব্যবসা করলে ভয় পাওয়ার কী আছে? তারা (ডিম ব্যবসায়ী) একদিকে অপরাধ করছে, অন্যদিকে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। এর চেয়ে নিন্দনীয় আর কিছু হতে পারে না। ব্যাপারটা অনেকটা ‘চোরের বড় গলার’ সাথে মিলে যায়।
এছাড়া ক্যাব এগ ব্যবসায়ী সমিতির কার্যক্রম নিষিদ্ধ ও তাদের সদস্যদের দোকান সিলগালা করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান তারা। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসেন, ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, সহ-সভাপতি এম নাসিরুল হক, ক্যাব মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শঙ্কু, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান। , আকবরশাহ। থানার সভাপতি ডা.মিসবাহ উদ্দিন তুহিন, পাহাড়তলী থানার হারুন গফুর ভূঁইয়া প্রমুখ।
ক্যাব নেতারা বলেন, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কিছুদিন ধরে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে ডিমের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসন সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তবেই তারা ‘হয়রানির’ শিকার হবেন বলে আস্তানাবাজরা জানাচ্ছেন। এমনকি ডিম বিক্রি বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছে তারা। এতে প্রমাণিত হয়, অসাধু চক্রটি ব্যক্তিগত স্বার্থে ও অধিক লাভের আশায় ডিমের দামে হেরফের করেছে। প্রশাসনের কারসাজির প্রমাণ পাওয়ায় তারা সবজি দিয়ে মাছ ঢাকতে চাচ্ছেন।
ক্যাব নেতারা জানান, দুই সপ্তাহ আগেও ১০০টি ডিমের দাম ছিল ১২০০ থেকে এক হাজার টাকা। এটি এখন বিনা কারণে ১,২৫০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে অসাধু চক্র।