নাইজারের জান্তার সঙ্গে ‘কঠিন’ আলোচনায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির জান্তা নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনা করেছেন একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা। ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি সেক্রেটারি অফ স্টেট ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বলেছেন, “খুব খোলামেলা এবং বেশ কঠিন” আলোচনা হয়েছে।
ওয়াশিংটন বলছে, নাইজার সমস্যা এখনও কূটনৈতিকভাবে সমাধান করা যেতে পারে। দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে পুনর্বহাল করা হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টকে ‘অটুট সমর্থন’ ঘোষণা করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এর পর থেকে নাইজারকে সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
নাইজার সংকট নিয়ে আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসবে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সামরিক হস্তক্ষেপের আশঙ্কায় নাইজারের সামরিক শাসকরা আকাশপথ বন্ধ ঘোষণা করেছে। এর আগে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলি, ইকোওয়াস, সতর্ক করেছিল যে নাইজারের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বাজেমেকে পুনর্বহাল না করা হলে তারা শক্তি প্রয়োগ করতে পারে।
নাইজারের সামরিক শাসকরা তখন রাশিয়ান ভাড়াটে সরবরাহকারী ভ্যাগনারের সাহায্য চেয়েছিল। সোলিফু মোদি নামে একজন অভ্যুত্থান জেনারেল প্রতিবেশী মালিতে যান এবং এই সহযোগিতার জন্য ভাগনারের সাথে যোগাযোগ করেন।
জান্তার একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুত।
অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী রাষ্ট্রপতির গার্ডের প্রধান আবদোরাহমান চিয়ানি ২৬শে জুলাই একটি সামরিক অভ্যুত্থানে নাইজারের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজেমকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
নাইজার বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। সামরিক বাহিনী বলছে তারা নিরাপত্তাহীনতা ও অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে ক্ষমতা দখল করেছে।