আজ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন

0

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রয়াত এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তার নাম রাখেন নানা শেখ মুজিবুর রহমান। কম্পিউটার বিজ্ঞানী সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার সময় জয় তার মা ও বাবার সঙ্গে জার্মানিতে ছিলেন। পরে তিনি তার মায়ের সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ভারতে চলে যান। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে ভারতে। সেখানে নৈনিতালের সেন্ট জোসেফ কলেজে অধ্যয়ন করার পর, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরলিংটনের টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক হন। পরে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সজিব ওয়াজেদ জয় ২৬ অক্টোবর ২০০২ তারিখে ক্রিস্টিন ওভারমায়ারকে বিয়ে করেন। তাদের একটি মেয়ে রয়েছে।

জয় ২০১০ সালে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তাকে পিতৃভূমি রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্যপদ দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। ২০০৭ সালে, জয় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম কর্তৃক ‘বিশ্বের বিশ্ব নেতা’ নির্বাচিত হন।

দলীয় ঘরানার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি, রাজনীতি, সামাজিক, অর্থনৈতিক, শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি, তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন জয়। বিশেষ করে দেশের যুবসমাজকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে নিজেকে নিয়োজিত করতে বিভিন্ন কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নিচ্ছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বেতবুনিয়ায় জিও-স্যাটেলাইট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির জনক সজিব ওয়াজেদ জয় বঙ্গবন্ধু মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠান।

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ইন্টারনেটকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করেন সজিব ওয়াজেদ জয়। চর বা পাহাড়ি এলাকার মতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশাপাশি ইউনিয়ন পর্যায়েও ইন্টারনেট সম্প্রসারিত হয়েছে।

দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, সজিব ওয়াজেদ জয় তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাগত কাজের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে দেশের আইসিটি খাতের দ্রুত উন্নয়নে সফলভাবে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *