ভুল শুধরে নির্বাচন সফল করতে চায় কমিশন : সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, কমিশন চায় ভবিষ্যৎ ভোট যাতে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি না হয় সেজন্য সফল হোক। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগের ভোটের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে পরবর্তী রাউন্ডের ভোট ভালোভাবে করতে হবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনা ঘটেছে, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে, যা মোটেই কাম্য নয়। তবে নির্বাচনের মাপকাঠি যদি ভোট দিতে হয়, তাহলে বলব গত নির্বাচনে গড় ভোট পড়েছে ৭৪ শতাংশ।
সিইসি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে যেসব নির্বাচন হয়েছে, আমরা দাবি করছি, নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক, অংশগ্রহণমূলক হয়েছে। ফলে ৮০ শতাংশ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচন উত্তেজনাপূর্ণ ও উত্তপ্ত। সেই উত্তেজনা এবং উন্মাদনা কখনও কখনও সহিংসতায় পরিণত হয়, যা আমরা কখনই চাই না।
নুরুল হুদা বলেন, যারা মাঠে বসে নির্বাচন করেছেন তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি। যেসব জায়গায় নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল না সেখানে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। এভাবে শেষ পর্বে প্রায় সাড়ে আট হাজার কেন্দ্রের মধ্যে ১৬ থেকে ১৮টিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়নি। এর মানে আমরা দেখেছি শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোথাও কোথাও মারামারি, হত্যা ও জখম দেখেছি। এরপরও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। , আনসার ও ভিডিপি, ডিজিএফআই এবং এনএসআই।