গ্যাস সংকটের কারণে দিনে উৎপাদনে লোকসান হচ্ছে ৩ কোটি টাকা।চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড
প্রযুক্তিগত ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে প্রায় আট মাস ধরে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানা চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের (সিইউএফএল) উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন প্রায় তিন কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে বলে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়। কারখানাটি প্রতিদিন ১,০০০ টন অ্যামোনিয়া এবং ১,১০০ টন ইউরিয়া উত্পাদন করতে সক্ষম।
সিইউএফএল সূত্র জানায়, গত বছরের ২২ নভেম্বর বয়লারে আগুন লাগার পর সিইউএফএলে সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ৫ মে পর্যন্ত বয়লার মেরামতের কাজ চলে। এখন আবারও সার উৎপাদনের জন্য কারখানা প্রস্তুত হলেও গ্যাস সংকট এড়ানো গেছে। এ ছাড়া ডেনমার্কের সহায়তায় কারখানায় সার অনুঘটক হ্রাস প্রকল্প চলছে। এটি সম্পূর্ণ করতে একমাস ধরে একটানা ৪২ এমএমসিএফডি গ্যাস প্রয়োজন। কিন্তু গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় অনুঘটক কমানোর কাজ শেষ হয়নি।
সিইউএফএলের এমডি মিজানুর রহমান বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি ও গ্যাস সংকটের কারণে গত বছরের ২২ নভেম্বর থেকে প্রায় আট মাস কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এতে দৈনিক প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতি হচ্ছে। সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েও গ্যাস দিচ্ছে না কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় ক্যাটালিস্ট কমানোর কাজ শেষ করা যায়নি। এতে মান কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তা হলে দীর্ঘমেয়াদে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এই কারখানা। এ ছাড়া সার উৎপাদনের উপযোগিতা নষ্ট হবে।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এমডি প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহের বিষয়ে সরকার ও বিসিআইসি থেকে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ রয়েছে। সে অনুযায়ী সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহের নির্দেশ এলে গ্যাস দেওয়া হবে।