চবিতে ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে শিক্ষক সমিতির চিঠি
সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ক্যাম্পাসকে নিরাপদ করতে কর্মসূচি গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরিন আখতারকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বুধবার চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল হক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে জানাচ্ছি যে সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। দেশ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ প্রায় সারা দেশেই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটিতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল ও অনুষদের আশেপাশে জমে থাকা বৃষ্টির পানি এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ও বিস্তারকে বিপজ্জনকভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলে ফেরার আগেই ক্যাম্পাসকে ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ‘এডিস মশা নির্মূল কর্মসূচি গ্রহণ’ করবে বলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা করছে। জরুরী ভিত্তিতে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।
চিঠির অনুলিপি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদকে দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী জানান, প্রায় ২০ দিন ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে। আবাসিক হলসহ অনেক জায়গায় পানি জমে গেছে। সারাদেশে ডেঙ্গু বহনকারী মশার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে তাই শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
মশা ও ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, এরই মধ্যে রেজিস্ট্রারের সঙ্গে কথা হয়েছে। হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে স্প্রে করা হবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থা নেওয়ার আগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে ক্যাম্পাসে মাইকিং করে চবি শিক্ষার্থীদের সংগঠন উত্তরণ। সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, এবার এত বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন যে হাসপাতালগুলো সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি পাড়া-মহল্লা থেকে সচেতনতা সৃষ্টির কাজ শুরু করতে হবে। কারণ সবাই সচেতন না হলে কারো পক্ষে একা ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব নয়। আমি আশা করি বাংলাদেশের প্রতিটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসবে।