নবীগঞ্জে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও চা শ্রমিকদের মানববন্ধন

0

বকেয়া বেতন-বোনাস, উৎসব ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা, চিকিৎসা ও স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিতকরণসহ ৭ দফা দাবিতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করেছে চা শ্রমিকরা।

বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকরা। এ সময় আন্দোলনকারীরা দাবি মানা না হলে ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, বাংলাদেশ চা-পার্লামেন্টের চা-বাগান মালিক সমিতি ও বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত বিগত শ্রম চুক্তি অনুযায়ী উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ৩৬০ জন শ্রমিকের ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের বকেয়া মজুরি। এলাকার ২০১৯-২০ এবং ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য শ্রমিকদের। মালিক পক্ষ কর্তৃক ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা, এরিয়া বোনাসের ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা, চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিলের (পিএফ) ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা বকেয়া পরিশোধ না করায় অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা পিএফের টাকা পাচ্ছেন না। পিএফ অফিস। এছাড়া বৃষ্টি ও রোদেও ভোগান্তিতে পড়তে হয় চা শ্রমিকদের। চিকিৎসকের অভাবে চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। চা শ্রমিকদের ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে ২৫ জুন ইমাম টি এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চিঠি দেন চা শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ সাড়া না দেওয়ায় ৩ জুলাই থেকে ধর্মঘট করছেন তারা।

এ বিষয়ে বালিশিরা ভ্যালি চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ দাশ বলেন, চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আমরা প্রথমে বাগান কর্তৃপক্ষসহ সবাইকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। কিন্তু দাবি মানা না হলে প্রথমে মহাসড়ক ও আজ ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করি।

এ প্রসঙ্গে ইমাম টি এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাইন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, ১৫ জুলাই থেকে পর্যায়ক্রমে এলাকার টাকা, বোনাস ও পিএফের টাকা দেওয়া হবে। আর চা শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন দেওয়া হচ্ছে। এবং সমস্ত সুবিধাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *