শেয়ারবাজার।অবশেষে জেড ক্যাটাগরিতে রয়েছে ৫টি কোম্পানি
ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) অবশেষে দুই থেকে চার বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেওয়া পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার ‘এ’ বা ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে নামিয়ে এনেছে। কোম্পানিগুলো হলো- নূরানী ডাইং, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএসআরএম স্টিল, নর্দান জুট এবং অ্যাপোলো ইস্পাত।
উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ রবিবার ক্যাটাগরি নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়ে ব্রোকার ডিলার এবং মার্চেন্ট ব্যাংককে এই শেয়ারগুলিতে মার্জিন ঋণ না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। এই ঘোষণার পর ফ্লোর প্রাইসের উপরে উঠে আসা অ্যাপোলো স্টিল আবার ফ্লোর প্রাইসের দিকে নেমেছে।
এ ছাড়া ফ্লোর প্রাইস পতনের কারণে নূরানী ডাইংয়ের শেয়ারের দাম কমার কোনো সুযোগ না থাকলেও সার্কিট ব্রেকারে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করে লেনদেন হয়। সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার প্রায় ১০ শতাংশ হারিয়েছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সায়, আরএসআরএম স্টিল ১০ শতাংশের এক চতুর্থাংশ হারিয়েছে ২০ টাকা ৩০ পয়সায়, নর্দান জুট এক চতুর্থাংশ ৯ শতাংশ হারিয়েছে ২৫৬ টাকা ৫০ পয়সায় এবং অ্যাপোলো স্টিলের এক চতুর্থাংশের ক্ষতি হয়েছে। ৮ টাকা ২০ পয়সা। .
দীর্ঘদিন লভ্যাংশ না দিলেও নুরানী ডাইং, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, আরএসআরএম স্টিল, নর্দান জুট ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার এবং অ্যাপোলো ইস্পাত ‘বি’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হচ্ছিল। ডিএসই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে 1 সেপ্টেম্বর, ২০২০-এ জারি করা জেড ক্যাটাগরি সম্পর্কিত নির্দেশাবলীর ধারা ১ লঙ্ঘনের জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রাসঙ্গিক ধারা অনুসারে, যদি পরপর দুই বছর নগদ লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয় বা সময়মতো এজিএম করতে ব্যর্থ হয় বা যদি ব্যবসায়িক কার্যক্রম ছয় মাসের বেশি বন্ধ থাকে বা অপারেটিং ক্ষতি বা নেতিবাচক নগদ প্রবাহ থাকে পরপর দুই বছরের জন্য বা পুঞ্জীভূত ক্ষতির পরিমাণ পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে বেশি হলে, কোম্পানির সংশ্লিষ্ট শেয়ারগুলি Z বিভাগে নামিয়ে দেওয়া হবে। তবে, এজিএম সংক্রান্ত কোনো মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকলে দুই বছর পর্যন্ত জেড ক্যাটাগরিতে পদোন্নতি থেকে অব্যাহতি রয়েছে।
নির্দেশের এই ধারায় পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার ক্যাটাগরি ডাউনগ্রেড করা হলেও, আরও অন্তত ১২টি কোম্পানি রয়েছে, যারা দুই থেকে চার বছর ধরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয়নি।
ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় পাঁচটি কোম্পানির ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। বাকিদের তদন্ত করা হচ্ছে। যেসব কোম্পানি এজিএম পাস করে আগের বছরের লভ্যাংশ বণ্টন করেনি তাদের বিষয়ে বিএসইসিকে জানানো হয়েছে।