সেন্টমার্টিন কাউকে ইজারা দিলে ক্ষমতায় থাকতে সমস্যা নেই, আমার দ্বারা সেটি হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, এদেশের কোনো সম্পদ আমার হাত দিয়ে বিক্রি হবে না। কারো কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির নিশ্চয়তা দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। তারপরও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বা আমাদের দেশ কাউকে ইজারা দিলে ক্ষমতায় থাকতে আমার কোনো সমস্যা হবে না, সেটা আমি জানি। কিন্তু আমার দ্বারা তা হবে না।’
ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ও কাতার ইকোনমিক ফোরামে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ড সফর প্রসঙ্গে বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। শুরুতেই সফর সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ থেকে ১৫ জুন অনুষ্ঠিত ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দেন। ১৩ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা যান। ১৭ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে দেশে ফেরেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী যোগ দেন। ২৩ থেকে ২৫ মে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় কাতার অর্থনৈতিক ফোরাম।
যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি কীভাবে ক্ষমতায় এলো? সে সময় গ্যাস বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। তাহলে কি তারা এখন দেশ বিক্রি করবে? নাকি বন্ড নিয়ে আসতে চান সেন্টমার্টিন দ্বীপ বিক্রি করে? আমি এতটুকু বলতে পারি, আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের কন্যা, আমি এদেশের কোনো সম্পদ কারো কাছে বিক্রি করে ক্ষমতায় আসতে চাই না। ওই গ্যাস বিক্রির নিশ্চয়তা দিলে ক্ষমতায় থাকতে পারতাম। তারপরও যদি বলি সেন্ট মার্টিন বা আমাদের দেশের ওই দ্বীপটি লিজ দেব, তাহলে ক্ষমতায় থাকতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি যে জানি. কিন্তু আমার দ্বারা তা হবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না। আমার দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলার অধিকার কারো নেই। আর কেউ যদি আমার দেশের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালায়, কাউকে আক্রমণ করে- আমরা এ ধরনের কাজ হতে দেব না। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, আমরা শান্তিপূর্ণ সহযোগিতায় বিশ্বাস করি।’
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখনও মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ঝগড়া হয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। তবে আমরা ঝগড়া বা মারামারি করতে চাইনি। আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো সাথে শত্রুতা না করার নীতিতে বিশ্বাসী। সেটাই আমরা অনুসরণ করব।