ডুবোজাহাজ নিখোঁজ।আওয়াজ আসছে, ঘড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে  চলছে খোঁজ

0

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আগ্রহী পর্যটকদের বহনকারী আটলান্টিক মহাসাগরে একটি নিখোঁজ সাবমেরিনের জন্য ‘সারা-ঘণ্টা’ অনুসন্ধান চলছে। চলমান এই উদ্ধার অভিযানে ‘আশার কণ্ঠস্বর’ শোনা গেছে।

মঙ্গলবার সাবমেরিনের ভিতর থেকে কেউ ধাক্কা মারছে এমন শব্দ হল। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় ধরে এই শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এটি কয়েক ঘন্টা ধরে শ্রবণযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। শব্দটি নিখোঁজ পাঁচ পর্যটকের ফিরে আসার আশা জাগিয়েছে।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটিকে পাঠানো এক গোপন মেমোর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আটলান্টিকের ২০ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। যে বিস্তীর্ণ এলাকায় অনুসন্ধান চলছে তা যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের আয়তন।

সাবমেরিনটি গভীর সমুদ্রে কাজ করা মার্কিন, কানাডার নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি অনুসন্ধান করছে। ইউএস কোস্ট গার্ড রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মাগার জানিয়েছেন কীভাবে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি জানান, সাবমেরিন ও সোনার সরঞ্জাম দিয়ে সাবমেরিনটি তল্লাশি করা হচ্ছে। জলের উপরে এবং নীচে অনুসন্ধান করার দুটি উপায় রয়েছে। সাবমেরিনটি হয়তো কোথাও ভাসছে, কিন্তু তাদের যোগাযোগের যন্ত্রগুলো নিচে পড়ে আছে। সেজন্য বিমানে করে সাগরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এর পাশাপাশি সোনার ডিভাইস ব্যবহার করে পানির নিচে অনুসন্ধানও করা হচ্ছে।

ইউএস কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, রোববার সমুদ্রে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পর ছোট সাবমেরিনটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাবমেরিনে সাধারণত পানির নিচে থাকা অবস্থায় চার দিনের জরুরি অক্সিজেন থাকে।

নিখোঁজ সাবমেরিনটির নাম ‘টাইটান সাবমারসিবল’। ট্রাক আকৃতির এই সাবমেরিনে পাঁচজন উঠতে পারবেন। পোলার প্রিন্স নামে একটি জাহাজ দ্বারা বহনযোগ্য একটি ডুবো বা ছোট সাবমেরিন টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এরপর তা যাত্রীদের নিয়ে সমুদ্রের গভীরে চলে যায়।

মধ্য আটলান্টিক মহাসাগরে ১২.৫০০ ফুট গভীরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে 8 দিনের এই ভ্রমণে আড়াই মিলিয়ন ডলার (প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকা) খরচ করতে হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *