ফরিদপুরে বিক্রির জন্য ৩০মণের ফ্রিজিয়ান ষাঁড়

0

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ফরিদপুরে সাত হাজার খামারে দেড় লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০মণের ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় নিয়ে জেলায় চলছে ব্যাপক আলোচনা। পশুর মালিক ছয় লাখ টাকা দাবি করেন। ইতোমধ্যে অনেক ক্রেতা গরুটি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ব্যবসায়ীদের চাহিদা বিবেচনায় এর মালিক মাজহারুল ইসলাম পশু হাটে আনার কথা ভাবছেন না।

মাজহারুল সদর উপজেলার চাঁদপুরের ধোপাডাঙ্গা গ্রামের পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক। কাজের পাশাপাশি বেশ কিছু ষাঁড় পালন করা হয়। এর মধ্যে প্রধান আকর্ষণ হল ১,২০০ কেজি বা ৩০ মণ ওজনের গরু। তিন বছর ধরে খুব আদর করে বড় করেছেন।

মাজহারুল বলেন, আমাদের পরিবার প্রায় দুই যুগ ধরে গরু লালন-পালন করে আসছে। আমার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু আমি ২০১৮ সালে চাষ করি। স্থানীয় ভেটেরিনারি ডাক্তার প্রভাস কুমারের পরামর্শে আমি এই প্রোগ্রামটি শুরু করি। তিনি আমাকে সব রকম সাহায্য করেছেন; প্রশিক্ষিত, ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেছেন। এখন আমি নিজেই সবকিছু করতে পারি। বেশি সমস্যা হলে তাকে ফোন করতে করি। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারাও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি জানান, এ বছর তিনি দুটি ফ্রিজিয়ান ষাঁড় বিক্রি করেছেন। দুই ক্রেতা একজন নেন ১ লাখ ২০ হাজার এবং অন্যজন ৯০ হাজার টাকায়। এবং ৩০ পাউন্ড ওজনের ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে লোকজন ভিড় করে। ক্রেতারা সাড়ে চার লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ালেও মাজহারুল ৬ লাখের নিচে দাম নামাতে চান না।

জিল্লুর রহমান রাসেল নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গরুর আকৃতি বিশাল। এত বড় গরু পালনও ভয়ের। দেখতে অনেকটা দানবের মতো। মাজহারুলের খামারের লোকজনের কাছে শুনেছি। দাম বললাম চার লাখ টাকা। কিন্তু সে যেতে চায় না।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা একেএস আসজাদ জানান, ফরিদপুরে ফ্রিজিয়ান, নেপালি, শাহিওয়াল ও দেশি জাতের গরু বেশি রাখা হয়। এ জেলায় যে পরিমাণ পশু প্রস্তুত রয়েছে তা স্থানীয় কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে আশপাশের এলাকায় রপ্তানি করা যাবে। আমরা মাজহারুলকে নিয়মিত গরু পালনের পরামর্শ দিয়ে আসছি। তিনি একজন সফল খামারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *