মাঝারি বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী

0

মাঝারি ভারী বর্ষণে চট্টগ্রাম নগরীতে হাঁটু পানি জমেছে। বুধবার বজ্রসহ বৃষ্টির পর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। স্কুলে ফেরা ছেলেমেয়েদের চিন্তায় পড়তে হয় অভিভাবকদের। বিভিন্ন কাজে বাইরে যাওয়া লোকজনকে হাঁটু পানিতে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (সিএইচসিআইসি) সাধারণ সভায় চলতি বর্ষায় নগরীতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কাউন্সিলররা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে ১১,০০০ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প চলছে শহরে। এসব প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। তারপরও জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলে জানিয়েছেন নগরবাসী।

তারা বলছেন, পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। মাঝারি বৃষ্টিতেও জল জমে আছে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায়ও হাঁটু পানি জমেছে। ভোগান্তিতে পড়েন পথচারীরা।

স্থানীয় লোকজন জানান, খালগুলো বর্জ্যে ভরা। খালের পাড়ে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণের কারণে নৌ চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কারণে পানি নামতে পারছে না। বৃষ্টি হলেই বন্যার কারণে নগরবাসীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বুধবারের বৃষ্টিতে নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা, কাতালগঞ্জ, ষোলশহর, চকবাজার, বাকলিয়া, শুলকবাহার, কাপাসগোলা, পাঠানটুলিসহ বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পানি জমেছে। চকবাজারে গিয়ে ভুক্তভোগী আবদুল হামিদ বলেন, মাঝারি বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতি হলে অতিবৃষ্টিতে ভেসে যাবে চট্টগ্রাম নগরী। তিনি নগরীর খালগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখার জন্য মেয়রকে অনুরোধ জানান।

তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোবারক আলী দাবি করেন, ড্রেনগুলো পরিষ্কার হওয়ায় দ্রুত পানি নেমে গেছে। ড্রেন ও খাল নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে।

এদিকে বুধবার চসিকের সাধারণ সভায় এই বর্ষায় নগরীতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। জন অসন্তোষের কথা মাথায় রেখে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) বলা হয়েছে। এছাড়া সাধারণ সভায় চসিকের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের স্থায়ী প্রকল্প ব্যবস্থাপক নিয়োগ ও উদ্বোধনের বিষয়ে চসিক, সিডিএ ও ওয়াসার প্রতিনিধিদের নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। ঈদুল আজহার আগে মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক।

সভায় সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন সেবা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় মুরাদপুরে কালভার্ট নির্মাণের কারণে মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কটি যান চলাচলের জন্য বন্ধ রয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সড়কটি খুলে দেয়ার দাবি জানান কাউন্সিলররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *