“আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই, এটাকেই তারা সমর্থন করেছে।”মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

0

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তারা আমাদের প্রতিশ্রুতি সমর্থন করেছেন, আমরা একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে চাই। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অব স্টেট আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন, যাতে প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। তাই তারা আমাদের প্রতিশ্রুতিকে সমর্থন করেছেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করব। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ কেউ অভিযোগ করেন যে অন্ধকারে ভোট হয়, তাই আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স তৈরি করেছি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিকভাবে দেশ পরিচালনা করছেন বলেই আমাদের দেশের মানুষ ভালো আছে, উন্নতি করেছে। আমরা একটি গণতান্ত্রিক সরকার, আমাদের জনগণের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। তাই তারা যা করেছে, সব দেশের জন্যই শুনেছি, ভালো হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। এটা বরং আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করেছে। ফলে আমরা আমাদের সেরা, স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন করব।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে তিনি বাড়তি চাপ অনুভব করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘না, কোনো বাড়তি চাপ নেই। তারা তাদের কাজ করেছে, আমরা আমাদের কাজ করেছি।’

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কেন জানায়নি এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের নীতি জানাতে দিন, কেন জানাব। তাদের জানা যাক, তারা এটা বলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট আমাকে একটি চিঠি দিয়েছেন, একটি চমৎকার চিঠি, আপনি চিঠিটির অর্থ বুঝতে পারেন, তিনি সেই চিঠিতে খুব সুন্দর কথা বলেছেন। চিঠির এক জায়গায় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই নীতি সহায়ক হবে। আর গণতন্ত্রের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ (নির্বাচন) কোনো রাজনৈতিক দল বাধাগ্রস্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র যাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে পারে।

সরকার অনেক দিন ধরেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে আসছে, কিন্তু তারপরও কেন ভিসা নীতির প্রসঙ্গ উঠছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দুষ্ট লোকেরা দেখে না, তারা উসকানি দেয়। পুলিশকে মারধর করা হয়, বাস পড়ানো হয়। গতকাল অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।তাই তাদের সতর্ক হওয়া উচিত।এই ভিসা নীতি শুধুমাত্র যারা সরকারী দল বা সরকারে আছেন তাদের জন্য নয়, যারা বিরোধী দলে আছেন তাদের জন্যও প্রযোজ্য হবে।

নতুন ভিসা নীতিমালার পর ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্ক টানাপোড়েনের মুখে পড়েছে। এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘খুব ভালো সম্পর্ক, সম্পর্কের কোনো টানাপোড়েন নেই। ৫২ বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক দৃঢ়, তারা এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। যা তারা চিঠিতে লিখেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *