ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’: ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে যুক্তরাষ্ট্র
ঘূর্ণিঝড় মোকার ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য জরুরি ত্রাণ সহায়তা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আড়াই মিলিয়ন ডলার দেবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বাংলাদেশের জনগণ এবং ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, অংশীদারিত্বে গত পাঁচ দশকে দুর্যোগ প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া উন্নত করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে। ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে, মার্কিন সরকার ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নয়শটি বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। দেশটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ তৎপরতায়ও অবদান রাখছে বলে জানা গেছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় গত রোববার আঘাত হেনেছে। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৯৫ কিলোমিটারের বেশি।
৮ মে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়। পরে এটি একটি নিম্নচাপ, একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয় এবং ১১ মে সকালে একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ১৩ মে (শনিবার) আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারে ১০তম জরুরি সংকেত জারি করার ঘোষণা দেয়। চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর দুর্যোগ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মংলা সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মওকা চলে যাওয়ার পর ১৫ মে (সোমবার) সতর্ক সংকেত প্রত্যাহার করতে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর।