এক মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, আদার কেজি ৩০০

0

পেঁয়াজ ও আদার দাম বাড়ছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজ। আর দেশি আদার দাম গত তিন দিনে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে আদার আমদানিও কম হওয়ায় পণ্যটির চাহিদা বাড়ছে।

বাজারে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজের বেশির ভাগই দেশি। আমদানি করা পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই কম। এক মাসেরও কম সময়ে পেঁয়াজের দাম ধাপে ধাপে বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর কয়েকটি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। কিন্তু ঈদের দুই-একদিন আগেও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৫ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারও রাজধানীর বাজারে আমদানি করা বড় পেঁয়াজের কেজি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০-৫৫ টাকা কেজি এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি। চলতি সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় উঠেছে। সে অনুযায়ী এক মাসে দুই ধরনের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ।

এ বছর পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা যাতে পেঁয়াজের ন্যায্য দাম পায় সেজন্য পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বাড়ায়নি কৃষি মন্ত্রণালয়। গত ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে।

ভারত থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ-আদা বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, দুই মাস ধরে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাজারে এখন দেশি পেঁয়াজ বেশি। আমদানি না করায় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে।

তবে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, দাম বাড়তে থাকলে ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পেঁয়াজের মতোই বাড়ছে আদার দাম। তিন দিন আগে দেশি আদার কেজি ছিল ২৫০-২৬০ টাকা। দাম বেড়ে গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৮০. এক মাস আগে দেশি আদা বিক্রি হয়েছিল প্রায় ২০০ টাকায়। একইভাবে আমদানি করা চাইনিজ আদার দামও চড়া। এ জাতের আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৪০-৩৫০ টাকায়। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে আদার দাম গড়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

আদার ক্ষেত্রেও একই চাহিদা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। কারওয়ান বাজারের পাইকারি আদার ব্যবসায়ী রুবেল হোসেন বলেন, ঈদুল আজহার আগে আদার চাহিদা কিছুটা বেড়ে যায়। যে কারণে প্রতি বছর কোরবানির আগে দাম কিছুটা বেড়ে যায়। কিন্তু এ বছর বাড়ছে অন্য কারণে। এর প্রধান কারণ আমদানি কমে যাওয়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *