হৃদরোগ প্রতিরোধে যে অভ্যাসগুলো অপরিহার্য
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, হৃদরোগ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতি বছর যারা হৃদরোগে মারা যায় তাদের এক-তৃতীয়াংশের বয়স ৭০ বছরের কম। তবে, হৃদরোগ এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতা থেকে মৃত্যুর ঝুঁকি কমানো সম্ভব। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, নির্দিষ্ট জীবনধারার পরিবর্তন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে রক্তে শর্করা, রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এর জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ-
স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয় গ্রহণ: একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারার প্রধান এবং প্রথম ধাপ হল প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয় অন্তর্ভুক্ত করা। তাই প্রতিদিন যতটা সম্ভব তাজা ফল ও সবজি খান। মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যকর খাবার এবং পানীয় গ্রহণ হৃদরোগ এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত জটিলতা প্রতিরোধে সহায়তা করে। খাবারে লবণ এবং চিনির পরিমাণ সীমিত করাও গুরুত্বপূর্ণ।
নিয়মিত ব্যায়াম: শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। এটি শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখবে না, তবে রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা এবং কোলেস্টেরলের সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও কমিয়ে দেবে। সুস্থ থাকার জন্য একজন প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি সপ্তাহে ২ ঘন্টা এবং প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। সাইকেল চালানো এবং দ্রুত হাঁটাও ভালো ব্যায়াম।
ধূমপান ত্যাগ করুন: হার্ট সুস্থ রাখতে ধূমপান ত্যাগ করা জরুরি। ধূমপান অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথে জড়িত। ধূমপান হৃদরোগের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। এই কারণে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধূমপান ত্যাগ করা উচিত।