কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায়ও অনিয়ম রয়েছে

0

অনিয়মের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিসিটিভি অপারেটর পদে নিয়োগের চেষ্টা করা হয়েছে। অনিয়মের খবর পেয়ে ওই পরীক্ষা বাতিল করা হয়। ১০ মাস আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ ও মোঃ আলমাছ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সরকারি ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে আলোচনায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিসিটিভি অপারেটরের ২৬টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য গত ৬ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ১৬ অক্টোবর ২০২০ তারিখে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক স্কুলে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ৭০০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল, ১৪২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩০ জন পাস করেছে। তারা ৬ জানুয়ারি মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। এসব চাকরিপ্রার্থীর তথ্য যাচাই করতে গিয়ে আবু বকর সিদ্দিক নামের এক পরীক্ষার্থীর হাতের লেখায় অসঙ্গতি পাওয়া যায়। লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র এবং তার নিজের হাতের লেখার মধ্যে কোনো মিল পাওয়া যায়নি। তার পরিবর্তে অন্য কেউ পরীক্ষা দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও মানবসম্পদ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক ড. সিরাজুল ইসলাম গতকাল বলেন, এটা অনেক আগের কথা। সেই পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

এছাড়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আরও তদন্ত চলছে। তাদের অপরাধ প্রমাণিত হলে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আবু বকর সিদ্দিক তার পক্ষে আরেকটি পরীক্ষা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। ১৩ জানুয়ারি, গভর্নর ফজলে কবির অভিযোগের বিষয়ে একটি বিশেষ তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে জানা যায়, আবু বকর সিদ্দিকীর পরিবর্তে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন নেতানন্দ পাল নামে এক ব্যক্তি। এ অনিয়মের পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ। চাকরিপ্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক ও যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ নেতানন্দ পালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন আরেক যুগ্ম পরিচালক। আলমাছ আলী। এ জন্য আবু বকর সিদ্দিক আলমাস আলীর ব্যাংক হিসেবে দুই লাখ টাকা জমা দেন। আলমাছ আলী তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান, নেতানন্দ পালকে দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল।

তদন্ত দলের সুপারিশের ভিত্তিতে ১৩ জুন দুই যুগ্ম পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাবুদ ও মো: আলমাস আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের রিক্রুটমেন্ট অ্যান্ড আউটসোর্সিং উইংয়ের তৎকালীন উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মুজিবুর রহমানের ব্যাখ্যা তলব করা হয়। তবে তার অসন্তোষজনক ব্যাখ্যা এবং তদন্তে জড়িত না থাকার কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এবং পরবর্তীতে তাকে মহাব্যবস্থাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *