জলকেলিতে আজ অনুষ্ঠিত হবে বৈসাবি উদযাপন
পাহাড়িদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু, সাংগ্রাইং, বৈসুক, বিষু, সংক্রান, বিহুর তৃতীয় দিনে গত শুক্রবার বৌদ্ধ মন্দিরে বিশ্বের সকল প্রাণীর সুখ, শান্তি ও মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। মারমাদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা মৈত্রী পানিবর্ষের মধ্য দিয়ে আজ শেষ হবে এই উৎসব। মূলত ত্রিপুরাদের বৈসুক, মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের বিজু- এই তিনটি উৎসবের সংক্ষিপ্ত নাম বৈসাবি।
উৎসবের তৃতীয় দিনে শুক্রবার রাঙামাটির চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে গজপ্যাজ্য বিজুতে প্রার্থনায় অংশ নেন। রাজবন বিহার মাঠে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল পঞ্চশীল প্রার্থনা, সংঘদান, অষ্টপ্রিস্কর দান, বুদ্ধ মূর্তি দান, বুদ্ধপূজা, পরিত্রাণ সূত্র পাঠ, বিশ্ব শান্তির জন্য শুভ কামনা প্রার্থনা এবং ধর্মীয় আলোচনা। রাজবন বিহারের আবাসিক ভিক্ষু সংঘের প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির এ উপলক্ষে বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীদের পঞ্চশীল ও ধর্মীয় উপদেশ দেন। এছাড়া দুই দিন হাইহুল্লোদ শেষে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী শুক্রবার গজপজ্যায় সারাদিন বাড়িতেই বিশ্রাম নেন পাহাড়ি মানুষ। প্রবীণদের তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং যত্ন ও আশীর্বাদ দিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল।
উৎসবের শেষ দিনে রবিবার রাজস্থানী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়ায় মারমা সংস্কার সংস্থার (মাস) উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে সাংগ্রাই জলকেলির আয়োজন করা হয়।
এদিকে নববর্ষ উপলক্ষে শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। পরে এক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। আরো উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আংসুই প্রু চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ প্রমুখ।