সুদানের আধা-সামরিক বাহিনী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬
সুদানের সামরিক বাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে। এই সংঘর্ষে ৫৬ জন নিহত ও প্রায় ৬০০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে রাজধানী খার্তুমের বাসিন্দারা এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির লড়াই থেকে অনেক দূরে। আধাসামরিক বাহিনী সুদানের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, রাষ্ট্রীয় টিভি এবং সেনা সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে তিনজন জাতিসংঘ কর্মী রয়েছেন। একটি সামরিক ঘাঁটিতে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় তারা গুলিবিদ্ধ হন। সুদানের সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে তীব্র ক্ষমতার লড়াইয়ের কারণে এই সংঘাত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) উভয়ই রাজধানী খার্তুমের বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে দাবি করেছে। তবে এসব এলাকায় রাতভর সংঘর্ষ চলছে বলে জানা গেছে।
দারফুর অঞ্চলের শহরগুলি সহ সুদানের অন্য কোথাও সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
সেনাবাহিনী বলছে, এয়ারফোর্স ফাইটার জেট আরএসএফ ঘাঁটিতে আঘাত করেছে। একই সময়ে, দেশটির বিমান বাহিনী শনিবার রাতে জনগণকে তাদের ঘরে থাকতে বলেছে।
সুদানের একটি মেডিকেল ইউনিয়ন বলেছে, নিহতদের মধ্যে কতজন বেসামরিক নাগরিক তা স্পষ্ট নয়। এর আগে, চিকিত্সক ইউনিয়ন বলেছিল যে সংঘর্ষে তিন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে উত্তর আফ্রিকার এই দেশের সেনাবাহিনী সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করেছিল। তখন থেকে সেনা জেনারেলরা ‘স্বাধীন কাউন্সিল’ নামে দেশ চালাচ্ছিলেন।
এই স্বাধীন কাউন্সিলের সহ-সভাপতি হলেন জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালো। অন্যদিকে, স্বাধীন কাউন্সিলের প্রধান হলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহা।