কাঁচা আম গরমে হজমশক্তি বাড়ায়

0

বাজারে এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। গ্রীষ্মে কাঁচা আম খেলে শুধু শরীর সুস্থ থাকে না অনেক মারাত্মক রোগও প্রতিরোধ করে। কাঁচা আম শরীরকে রিহাইড্রেট করতে সাহায্য করে, যা হজমের জন্য অপরিহার্য। নিয়মিত কাঁচা আম খেলে পেটের সমস্যাও দূর হয়। কাঁচা আমে ভিটামিন এ, সি এবং ই ছাড়াও ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ফাইবারের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। গ্রীষ্মের মৌসুমে স্বাস্থ্যের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে, তাই খাবারের প্রতি সতর্ক থাকা খুবই জরুরি। স্বাদের পাশাপাশি কাঁচা আম স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।

এমনকি কাঁচা আমও খাওয়া যায়। আবার সাধারণ বা বিট লবণ দিয়ে কাঁচা আম খেতে পারেন। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খাওয়া খুবই উপকারী।

কাঁচা আম খাওয়ার উপকারিতা-

১. মশলাদার খাবার খেলে প্রায়ই পেটে অ্যাসিডিটি হয়। অ্যাসিডিটির সমস্যায় ভুগলে কাঁচা আম খান বিট লবণ দিয়ে। এতে খাবার সহজে হজম হবে এবং পেটে গ্যাস হবে না। কাঁচা আম খেলে ওজন কমতে পারে। তাই পেট বাড়তে থাকলে কাঁচা আম খান। কয়েকদিন পর শরীরে পরিবর্তন দেখা যাবে। গ্যাস বা বদহজমের মতো সমস্যা থাকলে কাঁচা আম খাওয়া খুবই উপকারী। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং পেটের সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করে।

২. গ্রীষ্মকালে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে কাঁচা আম খাওয়া উপকারী বলে মনে করা হয়। এছাড়া গরমে শরীরে পানি সরবরাহ ও আর্দ্রতা বজায় রাখতে কাঁচা আম খাওয়া যেতে পারে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাঁচা আমও খাওয়া যেতে পারে। করোনা ও গ্রীষ্মকালে শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে কাঁচা আমের বিকল্প নেই। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।

৪. কাঁচা আম শরীরে চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি শরীরে আয়রন সরবরাহ করতেও ব্যবহৃত হয়। এই কারণে, আপনি আপনার খাদ্যতালিকায় কাঁচা আম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

৬. কাঁচা আম শরীরে পানি সরবরাহে সহায়ক, যা হজমের জন্য অপরিহার্য। এতে অ্যাসিড থাকায় গরমে হজমের সমস্যা এড়ানো যায়। এতে থাকা পেকটিন সাধারণ পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, পেট খারাপ, পাইলস, আমাশয়, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং অ্যাসিডিটির চিকিৎসায় সাহায্য করে।

৬. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে নিয়মিত আম খেতে পারেন। এটি ত্বককে দাগমুক্ত ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

৭. অতিরিক্ত ঘামের জন্য আপনি কাঁচা আমের শরবত খেতে পারেন।

৮.  একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম কাঁচা আম খেতে পারেন। অন্যদিকে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য প্রতিদিন ১০ গ্রাম আম খাওয়া ভালো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *