তদন্ত প্রতিবেদন।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন পরিকল্পিত নাশকতা, আরসার সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি

0

Description of image

গত ৫ মার্চ উখিয়ার বালুখালীর ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ‘পরিকল্পিত নাশকতা’ বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই নাশকতার সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ নেই।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের, নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধিসহ ১০টি সুপারিশ করা হয়েছে।

রোববার তদন্ত কমিটি জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর সংবাদ সম্মেলন করেন কমিটির প্রধান ও জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান।

আবু সুফিয়ান বলেন, দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত ৭৫ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। এ ছাড়া বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্তকালে কেউ কেউ আরসা সদস্যদের জড়িত থাকার দাবি করলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এটি পরিকল্পিত নাশকতা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতিটি ব্লকের রাস্তাগুলোকে আইন প্রয়োগকারী ও ফায়ার সার্ভিসের যানবাহনের জন্য উপযোগী করে তোলা, ব্লকের রাস্তার পাশে চৌবাচ্চা নির্মাণ, আশ্রয়কেন্দ্রে কম দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করা, ক্যাম্পের জন্য আলাদা ফায়ার সার্ভিস ইউনিট স্থাপন, হাকিং মার্কেট থেকে বিরত থাকা। ক্যাম্প, দাহ্য পদার্থের বিক্রি বন্ধ করা, ক্যাম্পের প্রবেশপথে লেআউট (নিরাপত্তা স্থাপনা) স্থাপন এবং অগ্নিনির্বাপক প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা প্রদান, ক্যাম্প ব্লকে ওয়্যারলেস টাওয়ার এবং ৩৬০ ডিগ্রি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন এবং নিরাপত্তা বেড়া স্থাপন করা।

গত ৫ মার্চ দুপুর আড়াইটার দিকে উখিয়ার ১১ নম্বর বালুখালী ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ২ হাজার ৮০৫টি ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ১৫ হাজার ৯২৫ রোহিঙ্গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।