রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

0

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষ ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে মানুষের জন্য ততই মঙ্গল।

শনিবার (৪ মার্চ) স্থানীয় সময় কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব যত দ্রুত সম্ভব ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ শেষ করতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে পারেন। যেসব দেশ যুদ্ধ থেকে উপকৃত হয় তাদের উচিত অন্য দেশগুলোকে দুর্ভোগ কমাতে সাহায্য করা।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিকদের স্বদেশে ফিরে যেতে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।

ভাসানচরে ৩০,০০০ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের জন্য তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও রোহিঙ্গাকে সেখানে স্থানান্তর করতে সহায়তা করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিবকে অনুরোধ করেন।

প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘের মহাসচিব উভয়েই একমত হয়েছেন যে রোহিঙ্গাদের অবশ্যই মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে, সেখানকার রাজনৈতিক দৃশ্যপটে যে কোনো পরিবর্তনই হোক না কেন।

বৈঠকে আন্তোনিও গুতেরেস উন্নয়ন, কূটনীতি এবং কোভিড মহামারী মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব সাফল্যের প্রশংসা করে বলেন, এই সাফল্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বিকেলে (স্থানীয় সময়) কাতার ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ইউএনজিএ সভাপতি সাবা করোসির সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা বৈঠকে দক্ষিণ-দক্ষিণ দেশগুলোকে সম্পৃক্ত করে একটি আন্তর্জাতিক ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন, যাতে উন্নত দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহায্য না করায় জনগণের কল্যাণে সম্ভাবনা ও পদক্ষেপ খুঁজে পাওয়া যায়। এ প্রেক্ষাপটে তিনি একদিনের জন্য এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে, ইউএনজিএ সভাপতি পরবর্তী সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের আগে এই উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে অভিমত দেন এবং বলেন যে তারা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বার্ষিক সমাবেশের কাজে নিযুক্ত থাকবেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী স্বল্পোন্নত দেশগুলির (এলডিসি ৫: সমৃদ্ধির সম্ভাবনা) ৫তম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারের রাজধানী দোহা পৌঁছেছেন।

শনিবার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ভিভিআইপি ফ্লাইট (বিজি-৩২৫) দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কাতার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। পরে আনুষ্ঠানিক মোটর শোভাযাত্রায় শেখ হাসিনাকে বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *