চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট আরও এক মাস বন্ধ থাকবে

0

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউট বন্ধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নূর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৫৪২তম সভায় (জরুরি সভা) গৃহীত ‘সিদ্ধান্ত-১’-এর আলোকে গঠিত কমিটির তত্ত্বাবধানে একাডেমিক ভবন, আবাসিক হোস্টেল, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ভিতরে অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কারের কাজ চলছে। চলমান উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য গঠিত কমিটির সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটির কার্যকাল ৩০ মার্চ, ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

ইনস্টিটিউট বন্ধ থাকাকালীন, তিনটি বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে। বিধিনিষেধগুলি হল যে শারীরিক ক্লাস এবং পরীক্ষা বন্ধ থাকবে এবং সেই সময় অনলাইন ক্লাস খোলা থাকবে, ইনস্টিটিউটের অধীনে শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলও বন্ধ থাকবে এবং বন্ধের সময় চারুকলা ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে কোনও শিক্ষার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী জহির রায়হান বলেন, “এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চরম ব্যর্থতার ইঙ্গিত। আরও এক মাস চাওয়া তাদের নপুংসকতার বহিঃপ্রকাশ। এরপর রমজানে আবারও বন্ধ । প্রায় ছয় মাস গড়িয়ে যাচ্ছে অন্দোলন।

তিনি বলেন, “প্রশাসন ইনস্টিটিউট বন্ধ ঘোষণার পর আবারও শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটা আসলে আন্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা। তবে আমাদের কর্মসূচি চলবে।’

এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টায় উপাচার্য শিরীন আখতারের ডাকা জরুরি সিন্ডিকেট সভায় চারুকলা ইনস্টিটিউট এক মাসের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওইদিন রাত দশটার মধ্যে ছাত্রদের শিল্পী রশিদ চৌধুরী ছাত্রাবাস ছেড়ে যেতে বলা হয়। হোস্টেলের ওয়ার্ডেনের হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে ওই দিন রাত ১০টার পর ছাত্ররা হোস্টেল ছেড়ে চলে যায়। এরপর মূল ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। গত ৯ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের শততম দিনে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অবরোধ ও হামলা চালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

গত বছরের ২ নভেম্বর থেকে চবি আর্টস ইনস্টিটিউটের আন্দোলন শুরু হয়। প্রথমে তারা বিদ্যমান ক্যাম্পাস সংস্কার ও আবাসিক হলের ব্যবস্থাসহ ২২টি দাবিতে আন্দোলন করলেও পরে তারা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার জন্য আন্দোলন শুরু করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *