সুদের হার বাড়িয়ে আইএমএফ থেকে ঋণ নিচ্ছে পাকিস্তান
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের জন্য পাকিস্তান সরকার সুদের হার ১৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৯ শতাংশ করেছে। এটি দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সুদের হার। এর আগে ১৯৯৬ সালে সর্বোচ্চ ছিল ১৯.৫ শতাংশ।
এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে, পাকিস্তান ১.১ বিলিয়ন তহবিল পেতে আইএমএফের শর্তে সম্মত হয়েছে, যা ৬.৫ বিলিয়ন বেলআউট প্যাকেজের অংশ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, অনিচ্ছা সত্ত্বেও, পাকিস্তানকে দেশের নাজুক অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি করতে আইএমএফের কঠোর শর্ত মানতে বাধ্য হচ্ছে।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ঋণ নিয়ে ইসলামাবাদ ও আইএমএফের মধ্যে ভার্চুয়াল আলোচনাও হয়েছে।
চরম অর্থনৈতিক মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। পাঁচ মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো দেশটির সাপ্তাহিক মূল্যস্ফীতি ৪০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এক সপ্তাহে কিছু পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। পেঁয়াজ, মুরগির মাংস, ডিম, চাল, সিগারেট ও জ্বালানির মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বাজার ছিল অস্থির।
এদিকে, পাকিস্তানের চলমান অর্থনৈতিক সংকট স্বাস্থ্যসেবাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছে। রোগীরা জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাচ্ছেন না। দেশে মজুদ স্বল্পতার কারণে ওষুধ ও ওষুধ তৈরির উপকরণ আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে ইনসুলিন, ডিসপ্রিন ও অন্যান্য ওষুধ পাওয়া যায় না। ওষুধ কোম্পানিগুলো উৎপাদন কমাতে বাধ্য হচ্ছে। ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না চিকিৎসকরা।
পাকিস্তান ফার্মাসিউটিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (পিপিএমএ) চেয়ারম্যান সৈয়দ ফারুক বুখারি বলেন, বর্তমানে ২০-২৫ শতাংশ ওষুধ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।