দেউলিয়াত্ব থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের নানা তৎপরতা
পাকিস্তানের টালমাটাল অর্থনীতির কারণে দেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের দিকে তাকিয়ে আছে দেশটি। আর ঋণ নিশ্চিত করতে একের পর এক শর্ত পূরণ করতে হয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি হ্রাস করা হয়েছে, যার ফলে দাম বেড়েছে। ডলার সংকটের কারণে খাদ্যপণ্য ও জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রপাতি আমদানিও বন্ধ রয়েছে।
সোমবার দেশটির জাতীয় পরিষদে একটি সম্পূরক অর্থ বিল পাস হয়েছে। জনগণের ওপর আরো করের বোঝা বাড়বে।
আগামী সাড়ে চার মাসের মধ্যে নতুন রাজস্ব হিসেবে অতিরিক্ত ১৭ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায় শাহবাজ শরিফ সরকার। আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য এটি করতে হবে।
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ফিচ দেশটির রেটিং ডাউনগ্রেড করেছে যদিও পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ গত সপ্তাহে ৩ বিলিয়ন-এর বেশি হয়েছে। তাদের মতে, পাকিস্তান বর্তমানে ‘প্রতিপক্ষ হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে। হাতে থাকা ৩ বিলিয়ন মাত্র ১৬ থেকে ১৭ দিনের আমদানি খরচ কভার করতে পারে।
শ্রীলঙ্কার মতো যেন না ঘটে সে জন্য কয়েক মাস ধরেই আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।