‘বাংলাদেশের টাকা চোরের গাড়ি’ কলকাতার ইডি অফিসে দেখার মতো একটি দৃশ্য।

0

Description of image

এনএআরবি গ্লোবাল ব্যাঙ্ক আত্মসাৎ মামলার প্রধান অভিযুক্ত পিকে হালদারের ব্যবহৃত গাড়িটি এখন কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় একটি ল্যান্ডমার্ক হয়ে উঠেছে। গাড়িটি ‘বাংলাদেশ মানি থিফ কার’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি-র পূর্বাঞ্চলীয় অফিসের গেট থেকে প্রবেশ করার পরে পিকে হালদারের ব্যবহৃত গাড়িটি লিফটের কাছে প্রধান ফটকের সামনে দেখা যায়। গাড়িটি পিকে হালদারের ভারতীয় কাল্পনিক নাম শিবশঙ্কর হালদারের অধীনে নিবন্ধিত।

কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা সিজিও কমপ্লেক্সে বাইরের যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে। দীর্ঘ সময় ধরে সেখানে পড়ে থাকা বিলাসবহুল গাড়িটি ধুলোয় ঢাকা কমপ্লেক্স পরিদর্শনে আসা মানুষের মধ্যে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। কারণ কোনও ক্ষেত্রে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পরে, এটি ইডি অফিসে এনে দীর্ঘ সময় ধরে রেখে দেওয়া উচিত নয়। ভবনটির গাড়ি চালকদের কাছে এরই মধ্যে ‘বাংলাদেশের টাকা চোরের গাড়ি’ নামে পরিচিতি পেয়েছে গাড়িটি।

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভবনের বিভিন্ন গাড়ির চালক বলেন, যারা বিভিন্ন কাজে সিজিও কমপ্লেক্সে আসেন তারা এই গাড়িটি দেখলে জানতে চান, ‘এটি কেস কার। ‘ প্রকৃতপক্ষে বড় কর্মকর্তারা ধুলোমাখা গাড়িতে চড়েন না, যদিও আমাদের এখানে অনেক গাড়ি আছে, একটিও দামি গাড়ি নেই যেটি ধুলাবালি। এক নজরে, এটি বাকি গাড়ি থেকে আলাদা করা যেতে পারে।

তারা আরও বলেন, গত সাত-আট মাস ধরে এই গাড়ির জবাব দিতে দিতে আমরা ক্লান্ত। তাই কেউ জিজ্ঞেস করলে সংক্ষেপে বলি ‘বাংলাদেশের টাকা চোরের গাড়ি।’ এরপরও কেউ বেশি প্রশ্ন করলে গুগল থেকে জানতে বলি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।