আবারো অচলাবস্থা, ভোগান্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও সব আদালত বর্জন শুরু করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হওয়ায় বুধবার ফের কর্মসূচি শুরু হয়। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত অন্য দুটি আদালত ছাড়া বাকি আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলছিল।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। এতে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার বিচারপ্রার্থীকে।
জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার ও মোহাম্মদ ফারুককে (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক) অপসারণ, আলোচিত নাজির মুমিনুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবীরা গত ১ জানুয়ারি থেকে আদালত বর্জন করে আসছিলেন। আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ১৬ জানুয়ারি থেকে তারা দুজন ছাড়া অন্য আদালতে যাওয়া শুরু করেন।
দাবি পূরণ না হওয়ায় গত ৩০ জানুয়ারি বিশেষ সাধারণ সভায় ৭ ফেব্রুয়ারি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। সেই সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ায় আজ থেকে নতুন করে পুরনো কর্মসূচি শুরু করেছে তারা। চলবে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল জানান, এ পর্যন্ত দুটি ছাড়া অন্য আদালত স্বাভাবিক গতিতে চললেও বুধবার থেকে আবারো অচলাবস্থা শুরু হয়েছে। আইনজীবীদের আদালতের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করায় প্রতিদিন ৮-১০ হাজার মানুষ বিচারিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া বলেন, আমাদের দাবি মেনে নিলে আমরা আদালতে যেতে এক মিনিটও দেরি করব না। মামলাকারীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা কর্মসূচি আর বাড়াতে চাই না। আইনজীবীদের জীবিকা নির্বাহের বিষয়টিও এর সঙ্গে জড়িত। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।