পণ্য সংরক্ষণ ও পরিবহনের সুবিধার্থে জাতীয় কমিটি গঠন
বর্তমান সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা। এই লক্ষ্যে পৌঁছতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পণ্যের মজুত ও পরিবহন সংক্রান্ত লজিস্টিক খাত এবং সেবা সহজতর করার কোনো বিকল্প নেই। এ অবস্থায় লজিস্টিক খাতের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে প্রধান করে ২৯ সদস্যের একটি কমিটি করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
লজিস্টিক সেক্টরে রয়েছে – পরিবহন, গুদামজাতকরণ, ব্যক্তিগত কন্টেইনার ডিপো এবং বন্দর পরিষেবা। গত জুলাইয়ে, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় লজিস্টিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা অ্যাজিলিটি লজিস্টিকস ৫০টি উদীয়মান অর্থনীতির এই সেক্টরগুলিকে রেট দিয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান ৩৯তম। তালিকার শীর্ষ পাঁচটি দেশ হলো চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। পাকিস্তান (২৭) ও শ্রীলঙ্কার (৩৩) পিছনে রয়েছে বাংলাদেশ। এই কমিটি এই সূচকে অবস্থান এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।
কমিটির কাজের পরিধি অনুযায়ী, কমিটি লজিস্টিক সেক্টরে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য নীতি সহায়তা প্রদান করবে এবং বিদ্যমান নীতি কাঠামোকে সহজতর করবে, লজিস্টিক সাব-সেক্টরের নীতি ও উন্নয়ন কৌশল প্রণয়নে সার্বিক দিকনির্দেশনা প্রদান করবে এবং পর্যবেক্ষণ, পর্যালোচনা ও মূল্যায়ন করবে। সামগ্রিক লজিস্টিক উন্নয়ন কৌশল বাস্তবায়নের অগ্রগতি।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ছাড়াও কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, এনবিআর চেয়ারম্যান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থ, বাণিজ্য, জননিরাপত্তা, নৌপরিবহন, শিল্প, সেতু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ, রেলওয়ে, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক এবং স্থানীয় সরকার সচিব, এফবিসিসিআইএর সভাপতি ।